ডেবিট নোট ও ক্রেডিট নোট (Debit Memorandum & Credit Memorandum).
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়তই অসংখ্যবার ধারে বা বাকিতে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতা কর্তৃক পণ্য ফেরতের সম্ভাবনা থাকে।
পণ্য ফেরতের সময় ক্রেতা বা বিক্রেতা ফেরতকৃত পণ্যের সাথে ফেরতের কারণ, পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে একটি নোট প্রদান করে থাকে।
ক্রেতার পক্ষ থেকে এ জাতীয় নোটকে ডেবিট নোট বা দেনালিপি এবং বিক্রেতার পক্ষ থেকে এ জাতীয় নোটকে ক্রেডিট নোট বা পাওনালিপি নামে অভিহিত করা হয়।
ডেবিট ও ক্রেডিট নোট: নিচে ডেবিট নোট ও ক্রেডিট নোট সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো এবং এদের নমুনা দেয়া হলো:
“আর পড়ুনঃ” আয় চিহ্নিতকরণ নীতি
ডেবিট নোট বা দেনালিপি: ক্রয়কৃত পণ্য ফেরতের কারণ, পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ লিখে মালের সাথে ক্রেতা বিক্রেতার কাছে যে পত্র পাঠায় তাকে ডেবিট নোট বা দেনালিপি বলে।
ক্রেতার বইতে দেনালিপিতে উল্লেখিত টাকার জন্য বিক্রেতার হিসাবকে ডেবিট করা হয়।
অনেক সময় ক্রেতা ক্রয়কৃত মালের চালানের ভুল সংশোধন করে অথবা নিম্নমানের মালের জন্য রেয়াত (Allowance) চেয়ে বিক্রেতার নিকট ডেবিট নোট পাঠায়।
“আর পড়ুনঃ” Sunk Cost (নিমজ্জিত খরচ)
ক্রেডিট নোট: ও বিক্রিত পণ্য কোন কারণে ক্রেতা বিক্রেতার নিকট ফেরত পাঠালে বিক্রেতা উক্ত মালের বিবরণ, পরিমাণ, দর ও মূল্য লিখে যে বিবরণী ক্রেতার নিকট ফেরত পাঠায় তাকেই ক্রেডিট নোট বলে।
মূলত এ পত্রের মাধ্যমেই বিক্রেতা ক্রেতাকে জানিয়ে দেয় যে তাদের হিসাব খাত ক্রেডিট করা হয়েছে।
বিক্রয় ফেরতের ক্ষেত্রে ক্রেডিট নোট ব্যবহৃত হয়।